২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসায় এমডি পদে রয়েছেন একেএম ফজলুল্লাহ। তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন। রোববার দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা এমডিকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আন্দোলকারীরা ১৭ দাবি তুলে ধরেন। ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ না করলে হেনস্তার শিকার হতে হবে’ বলেও এমডিকে হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় দফা এক, দাবি এক; এমডির পদত্যাগ’ স্লোগান দেন তারা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমডি ফজলুল্লাহর আয়কর বিবরণী ২০০৯-২০২৪ এবং সম্পদ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ, ভ্রমণ বিল (২০০৯-২০২৪) এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ এবং ভ্রমণ বিলকে ব্যবসায় পরিণত করায় অনতিবিলম্বে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা, অবিলম্বে স্বৈরাচারী সরকারের পোষ্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড বাতিল, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকেৌশল ও রাজস্ব শাখাকে ঢেলে সাজানো।
দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ৪ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে তাণ্ডবে অংশ নেওয়া ওয়াসার কর্মচারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা, সরকার পতনের পর এমডির দেওয়া সব অবৈধ অফিস আদেশ বাতিল, ফজলুল্লাহর সময়ে বহিষ্কৃত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা, যেসব কর্মকর্তা প্রাধিকারের বাইরে গাড়ি ও জ্বালানি ভোগ করছেন তা সরকারি কোষাগারে জমা করা।
যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত তাদের দ্রুত বদলি করা, বিগত সরকারের আমলে সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের নথি-অডিট সংক্রান্ত তথ্য ও সব ক্রয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা, চট্টগ্রাম ওয়াসা রেস্ট হাউজের বিদুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল (২০০৯-২০২৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজ খাত থেকে পরিশোধ করতে হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, এমডিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। বিগত ১০ বছর ধরে ৩০-৩৫ শতাংশ পানি সিস্টেম লস দেখিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাতের সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে। বিগত ১৫ বছরে করোনাসহ নানা সংকটের মধ্যে পানির দাম বাড়িয়ে মানুষের কষ্টের প্রতিকার করতে হবে।
এসএস/এমএফ